শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা
অনুমোদন বিহীন করাতকলে বনজ সম্পদ ধ্বংসের মুখে : সামাজিক বন বিভাগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

অনুমোদন বিহীন করাতকলে বনজ সম্পদ ধ্বংসের মুখে : সামাজিক বন বিভাগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে সামাজিক বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে করাতকল অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যত্রতত্রভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক করাত কল স্থাপনের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ব্যাঙের ছাতার মতো এসব করাতকল গড়ে ওঠায় ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ। অন্যদিকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

সচেতন মহল দাবি করেছেন, এই অনুমোদনহীন অবৈধভাবে পরিচালিত করাতকলের মাধ্যমে বেপরোয়াভাবে চলছে বৃক্ষ নিধন ও কাঠ খড়ির জমজমাট ব্যবসা। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই করাত কলের খড়ি কাঠ।

 

তারা আরও বলেন, প্রতিদিনই লালমনিরহাট থেকে ট্রাক যোগে অনুমোদন বিহীন বিপুল পরিমাণ কাঠ প্রকাশ্যে পাচার করা হচ্ছে। কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় এই কাঠ পাচারকারী চক্রের দৌরাত্ম্য দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধিকাংশ স’মিলগুলো গড়ে উঠেছে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষে। স’মিলে বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ী নিয়ে আসা কাঠগুলো স্তুপ করে রাখা ফুটপাত দখল করে রাস্তার পাশ দিয়ে। করাত কলে কাঠ চিরাই করার সময়ে কাঠের গুঁড়ায় পথচারীদের পড়তে হয় মারাত্মক বিড়ম্বনায়। একদিকে পরিবেশের ক্ষতি অপরদিকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্টদের।

 

সচেতন মহলের আরও দাবি, যেহেতু লালমনিরহাট জেলায় কোন সংরক্ষিত বনভূমি নেই। তাই ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং সামাজিক বন বিভাগের নিস্ক্রিয়তা যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে অচিরেই ফুরিয়ে যাবে প্রাকৃতিক সম্পদ, যাতে হবে বিপর্যস্ত পরিবেশ, প্রজন্ম ও অস্তিত্ব রক্ষা করাই সম্ভব্য হবে না।

 

উল্লেখ্য যে, অনুমোদন বিহীন করাতকলের এ চিত্র লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone